প্রকাশ :
২৪খবর বিডি : ' এলডিপির মহাসচিব ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. রেদোয়ান আহমেদকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানানোয় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের কঠোর সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।'
তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব আজকাল সবকিছু একচক্ষু হরিণের মতো দেখেন। না হলে তিনি এলডিপি মহাসচিবের গুলি ছোঁড়ার বিষয়টি দেখতে পেতেন। প্রকৃত সত্য লুকিয়ে ধান ভানতে শিবের গীত গাওয়ার জন্য জনগণ তার বিবৃতি প্রত্যাখান করেছে।
* মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে সহযোগী-ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের সংগঠনের নেতাদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
কুমিল্লার চান্দিনায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় এলডিপির মহাসচিব ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. রেদোয়ান আহমেদকে গত সোমবার কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
তাকে গ্রেপ্তারের পর মির্জা ফখরুল উদ্বেগ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ সরকারের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেন।
* ওবায়দুল কাদের বলেন,‘এলডিপি মহাসচিবের ছোঁড়া গুলিতে ক্ষমতাসীন সংগঠনের দু'জন কর্মীর আহত হওয়ার বিষয়ে মির্জা ফখরুল একটি শব্দও বলেননি, পুরোপুরি চেপে গেছেন। এটা কী রাজনৈতিক সততা? এটা কী গণতন্ত্র?
‘এ ধরনের সত্য গোপন, হত্যা-সন্ত্রাসের রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেয়া এবং লালন-পালনের কাজটি তারা করে আসছেন তাদের জন্মলগ্ন থেকে। ক্ষমতায় থাকাকালেও তারা এটিই করেছেন।’-যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
* এলডিপি মহাসচিবের ওপর হামলার বিষয়ে আইনশৃংখলা বাহিনী তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে কোনো ধরনের অপকর্ম ও অনিয়মের ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হয়নি। এখানেও কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
বিএনপির সমালোচনায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসের পথ তারাই বেছে নেয়, যারা জনগণের ভোটে আস্থা হারিয়ে নির্বাচনবিমুখ হয়। ষড়যন্ত্র তাদেরই হাতিয়ার, যারা গণতন্ত্রের পথে না হেঁটে ক্ষমতায় যেতে চোরাগলি খুঁজে বেড়ায়।
'' আজকাল বিএনপি মহাসচিব সবকিছু একচক্ষু হরিণের মতো দেখেন: কাদের ''
‘বিএনপির এসব অপরাজনীতি জনগণ প্রত্যাখান করেছে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অগ্রগতির রাজনীত বিএনপির মিথ্যাচারের রাজনীতির মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছে।’
' ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বৈঠকে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে মাহবুব-উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, অসীম কুমার উকিল, সুজিত রায় নন্দী, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ওয়াসিকা আয়শা খানম, প্রকৌশলী আবদুস সবুর, শামসুন্নাহার চাপা, সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।'
* এছাড়া সহযোগী-ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা বৈঠকে যোগ দেন।বৈঠকে দলের মেয়াদোত্তীর্ণ তিন সহযোগী সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ এবং ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্ধারণের জন্য সংশ্লিষ্ট নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সময় প্রদান সাপেক্ষে এবং দলের কেন্দ্রীয় দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত করতে বলা হয়।